AP-3321
কৃষি
বিকোজিনন অরগানোফসফরাস জাতীয় দানাদার কীটনাশক। এটি আলুর কাটুই পোকা দমনে অত্যন্ত কার্যকরী। বিকোজিনন এর কার্যকারীতা ৩–৪ সপ্তাহ স্থায়ী হয়।
আলুর কাটুই পোকার আক্রমণ দেখা দিলে অনুমোদিত মাত্রায় বিকোজিনন ছিটাতে হবে। ছিটানোর সময় জমিতে ২–৪ ইঞ্চি আবদ্ধ পানি থাকা প্রয়োজন। পানি শুকিয়ে গেলে স্বাভাবিক সেচ দিন। ফসল - আলু, পোকার নাম - কাটুই পোকা, অনুমোদিত মাত্রাঃ ৮.৫০ কেজি / হেক্টর, ৩.৪০ কেজি / একর
সাবধানতাঃ গন্ধ নেয়া, স্বাদ নেয়া, গিলে খাওয়া, গায়ে লাগানো, ব্যবহারের সময় পানাহার বা ধুমপান নিষেধ। বাতাসের বিপরীতে ও খালি গায়ে ছিটাবেন না। কাজ শেষে শরীর ও পোষ্যক পর্যাপ্ত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে গোসল করুন। ব্যবহার শেষে খালি প্যাকেট মাটিতে গর্ত করে পুতে ফেলুন। বিকোজিনন ছিটানোর পর ব্যবহৃত ক্ষেতে অন্ততপক্ষে ২৪ ঘন্টা ঢুকবেন না এবং গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগীও জমিতে ঢুকতে দেবেন না। বিকোজিনন ছিটানোর পর ২১ দিন পর্যন্ত ফসল খাবেন না। বিষক্রিয়ার লক্ষণঃ স্নায়ুবিক দুর্বলতা, মাংশপেশী কম্পন, বমিভাব, খিচুনিভাব, শ্বাসকষ্ট, অস্থিরতা, পাতলা পায়খানা, তলপেট ব্যথা, ঝাঁপসা দৃষ্টি, চোখের তারার সংকোচন ইত্যাদি। প্রাথমিক চিকিৎসাঃ বিষক্রিয়ার লক্ষণ দেখা মাত্রই কীটনাশক নিয়ে কাজ করা বন্ধ করুন। ভুল। ক্রমে কেউ গিলে ফেললে সচেতন অবস্থায় গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করানোর চেষ্টা করুন। অচেতন রোগীকে বমি করাবেন না। চোখে লাগলে প্রায় ১৫ মিনিট পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখে। ঝাপটা দিন। খোলা জায়গায় রোগীকে শুইয়ে রাখুন। প্যাকেটসহ সত্বর ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রতিষেধকঃ এট্রোপিন সালফেট। চিকিৎসকের জ্ঞাতব্যঃ ২–৪ এম জি (পূর্ণ বয়স্কদের জন্য) এট্রোপিন সালফেট ইনজেকশন এট্রোপিনাইজড না হওয়া পর্যন্ত ৫-১০ মিনিট পর পর শিরায় দিতে হবে। ২৪–৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এট্রোপিনাইজড করে রাখতে হবে। বিষক্রিয়ার লক্ষণ দেখার ৬ ঘন্টার মধ্যে ইনজেকশন দেয়া আরম্ব করলে এর সাথে অক্সাইম জাতীয় ইনজেকশন (টক্সোগোনিন/পিএএম) দেয়া যেতে পারে। গুদামজাতকরণঃ মানুষ ও পশু-খাদ্য হতে দূরে শুষ্ক ও ছায়াযুক্ত নিরাপদ স্থানে রাখুন।।