AP-1686
কৃষি
বিকোরিল এম জেড-৭২ ডব্লিউ পি অন্তর্বাহী ছত্রাকনাশক" মেটালেক্সিল” ও স্পর্শত্রিয় ছত্রাকনাশক "ম্যানকোজেব" এর সংমিশ্রনে তৈরী। প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক দু'ভাবেই কার্যকরী বিধায় বিকোরিল এম জেড-৭২ ডব্লিউ পি প্রয়োগের পর আক্রান্ত ফসল সুস্থ্য হয়ে উঠে এবং নতুন করে রোগের আক্রমণ হয় না।
প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম। মাত্রাঃ ৮০০ গ্রাম / একর। প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে বিকোরিল এম জেড-৭২ ডব্লিউ পি ভালভাবে মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করুন। ২–৩ সপ্তাহ এর কার্যকারীতা স্থায়ী হয় তবে রোগের আক্রমণ খুব বেশী হলে ২ সপ্তাহের মধ্যেই পুনরায় স্প্রে করতে হবে।
সাবধানতাঃ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। কোন প্রকার গন্ধ ও স্বাদ নেওয়া কিংবা শরীরে লাগানো নিষেধ। বিকোরিল এম জেড-৭২ ডব্লিউ পি প্রয়োগের সময় হাতে রাবারের গ্লাস, নাক ও মুখে মাস্ক বা কাপড় ব্যবহার করবেন। বিকোরিল এম জেড-৭২ ডব্লিউ পি প্রয়োগের সময় পানাহার বা ধুমপান করবেন না। বাতাসের বিপরীতে ও খালি গায়ে বিকোরিল এম জেড-৭২ ডব্লিউ পি স্প্রে করবেন না। বিকোরিল এম জেড-৭২ ডব্লিউ পি ব্যবহারের পর সাবান ও পানি দিয়ে সমস্ত শরীর ও জামা-কাপড় ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহারের পর খালি মোড়ক পুড়িয়ে অথবা ছিড়ে নিরাপদ স্থানে পুঁতে ফেলুন। প্রাথমিক চিকিৎসা: বিষক্রিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে কাপড় বদলে ফেলে সাবান ও পানি দিয়ে শরীর ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। ভুলবশতঃ বিকোরিল এম জেড-৭২ ডব্লিউ পি পেটে গিয়ে থাকলে গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করাবার চেষ্টা করুন। অচেতন রুগীকে কখনও বমি করাবেন না। আক্রান্ত রোগীকে মুক্ত বাতাসে রাখুন এবং কীটনাশকের মোড়ক সহ দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রতিষেধক : নির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক নাই। লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। গুদামজাতকরণঃ শুদ্ধ, ছায়াযুক্ত ও পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন সুবিধা সম্পন্ন পরিবেশে মানুষ ও পশুখাদ্য হতে দূরে নিরাপদ স্থানে রাখুন। যথাযথ সংরক্ষণে বিকোরিল এম জেড-৭২ ডব্লিউ পি এর গুণাগুণ ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত অক্ষুণ্ণ থাকে।